আওয়ামী সরকার এখন ‘ঠগীদের’ ন্যায় মানুষ হত্যার উৎসবে মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘রোববার সন্ধ্যায় সীতাকুন্ডে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেনকে না পেয়ে তার বড় ভাই নুরুল মোস্তফা বজলকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা তৌহিদের নেতৃত্বে একটি দল কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে’ এ বিবৃত দেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী সরকার এখন ‘ঠগীদের’ ন্যায় মানুষ হত্যার উৎসবে মেতে উঠেছে। সারাদেশে এখন চরম নৈরাজ্য ও ভয়াল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশবাসীকে সন্ত্রাসের নাগপাশে বন্দি করে রাখা হয়েছে। নুরুল মোস্তফা বজল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, শুধুমাত্র আপন ছোট ভাই রাজনীতি করার কারণে তাকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হলো। একতরফা নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগ এখন ঘাতক আর খুনীদের ভাড়া করে গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যায় সীতাকুন্ডে ইসমাইল হোসেনের আপন বড় ভাই নুরুল মোস্তফা বজলকে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনা আসন্ন ‘আমরা ও মামুরা’ মার্কা একদলীয় নির্বাচনকে নিশ্চিত করা। হত্যা, গুম, খুন ও গুপ্তহত্যার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে আওয়ামী রাজনীতির সংস্কৃতি। আওয়ামী লীগ কখনোই শান্তি, সহমর্মিতা ও ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধায় বিশ্বাস করে না। এরা একটি মাত্র তন্ত্রেই বিশ্বাস করে, সেটি হলো গুন্ডাতন্ত্র।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রেখে দুর্নীতি ও লুটপাটের স্বর্গরাজ্য অবাধ ও চিরস্থায়ী করতেই হত্যাকে বেছে নিয়েছে পথের কাঁটা দূর করার জন্য। নুরুল মোস্তফা বজলকে গুলি করে ও দানবীয় কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো-দেশে আইনের শাসন নেই, দেশ যেন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য।
তিনি আরো বলেন, নুরুল মোস্তফা বজলকে নৃশংসভাবে হত্যার কাপুরোষোচিত ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে নুরুল মোস্তফা বজলকে নির্মমভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।