নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তারা গতকাল সোমবার বলেন, নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর চালানো ক্রমিক হামলায় এই প্রাণহানি ঘটে।
অঞ্চলটি অনেক বছর ধরেই ধর্মীয় ও জাতিগত উত্তেজনায় জর্জরিত। গত রোববার সন্ধ্যায় দেশটির সেনাবাহিনী প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এখন প্রাণহানির সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেল।
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলের প্লাতিয়াউ রাজ্যের বোকোসের স্থানীয় সরকারের প্রধান মানডে কাসাহ গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতা গতকাল ভোর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ ঘটনায় ১১৩ জনের মতো ব্যক্তির নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মানডে কাসাহ বলেন, একাধিক সশস্ত্র গ্যাং, যারা স্থানীয়ভাবে ‘দস্যু’ নামে পরিচিত, তারা কম করে হলে ২০টি ভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর সুসমন্বিতভাবে হামলা করে। তারা লোকজনের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।
মানডে কাসাহ আরও বলেন, হামলার ঘটনায় তাঁরা ৩০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পেয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের বোকোস, জোস ও বারকিন লাদির হাসপাতালগুলোয় স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় রেডক্রস প্রাণহানির প্রাথমিক পরিসংখ্যানে বলেছিল, বোকোস অঞ্চলের ১৮ গ্রামে ১০৪ জন নিহত হয়েছেন।
রাজ্য পার্লামেন্টের সদস্য ডিকসন চোলোমের তথ্যমতে, বারকিন লাদি এলাকার কয়েকটি গ্রামে হামলায় অন্তত ৫০ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর এ হামলায় নিন্দা জানান ডিকসন। এ ব্যাপারে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ডিকসন বলেন, ‘আমরা এই মৃত্যু বণিকদের কৌশলের কাছে নতিস্বীকার করব না। ন্যায়বিচার ও স্থায়ী শান্তির জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ।’