মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িতদের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই: জাতিসংঘ
মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত কোনো বাহিনীর সাথে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক।
এছাড়া শান্তিরক্ষা মিশনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা হয় বলেও জানিয়েছেন এই মুখপাত্র।
সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফ্রিংয়ে সংস্থাটির শান্তিরক্ষা মিশন প্রধান জ্যঁ পিয়ের লাখোঁয়ার বাংলাদেশ সফর এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আহ্বান প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ফারহান।
ব্রিফ্রিংয়ে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, “হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়ের লাখোঁয়াকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার আহ্বান করেছে। মানবাধিকার লংঘনকারি কোনো সদস্য যাতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ না পায় তা নিশ্চিত করারও আহবান জানিয়েছে। যারা শান্তি রক্ষা মিশনে অংশ গ্রহণ করবে তাদের মানবাধিকার লংঘনের মতো অপরাধে জড়িত থাকা উচিত নয়। এবিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?”
জবাবে ফারহান বলেন, “এ ব্যাপারে আমাদের যে অবস্থান, সেটা হলো- শান্তিরক্ষা মিশনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকি। যে দেশেরই সদ্যস্য হোক না কেনো আমরা এটা নিশ্চিত করে থাকি যে সেই দেশের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা যেনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত না থাকে।”
অপর এক প্রশ্নে মুশফিক জানতে চান, “জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়ের লাখোঁয়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন আয়োজিত একটি নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেছেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন এবং বাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তার বিরুদ্ধেম্যাগনেস্কি মানবাধিকার এ্যাক্টে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। র্যাব এখন বাংলাদেশ সরকার ডেথ স্কোয়াড হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সদ্যবিদায়ী হাইকমিশনার মিশেল ব্যাসেলেট বাংলাদেশ গুম হওয়া এবং তাতে র্যাবের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনের প্রধান হবার পরও লাখোঁয়া কী সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিশ্রুতির প্রশ্নে দায়বদ্ধ নন?”
জবাবে ফারহান জানান, “লাখোঁয়া শান্তিরক্ষা মিশন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যাদের সাথে দেখা করা দরকার তাদের সাথেই সাক্ষাত করেছেন।কিন্তু দেখুন, আমি আগেই যেটা বলেছি, আমাদের নীতি হচ্ছে- যেসকল বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত তাদের সাথে আমরা সম্পৃক্ত হইনা।”