যুক্তরাষ্ট্র কখনোই সেন্ট মার্টিন নিয়ে আলোচনা করেনি, চাই অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
মুশফিকুল ফজল আনসারীঃ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে উল্লেখ করে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নেয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কখনোই কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশ একসঙ্গে গণতন্ত্রের বিকাশের মাধ্যমে এই সম্পর্ককে আরও মজবুত করার চেষ্টা চলছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন।
সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফ্রিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দখল চায়- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।ব্রিফ্রিংয়ে মিলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য “সঠিক নয়” বলেও মন্তব্য করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর মন্ত্রীরা সেন্ট মার্টিন যুক্তরাষ্ট্র নিতে চায় বলে অব্যাহত ভাবে মন্তব্য করে যাচ্ছেন। আর তাই তাদের আর সরকারে রাখা হবেনা।
শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্রিফ্রিংয়ে মুশফিক জানতে চান, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন- “যুক্তরাষ্ট্র চায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি দখল করতে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতায় এসে এই দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করবে আর সেকারণেই তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়।” অথচ তিনি গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। আসলেই কী আপনারা ছোট্ট এই দ্বীপটিকে কিনতে চান কিংবা দখল করতে চান? নাকি এটা সরকারের শীর্ষ কর্তাদের প্রচার করে বেড়ানো একটি ভ্রান্তিকর তথ্য? কেন এই দ্বীপটি এতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো?”
জবাবে মিলার বলেন, “আমি বলবো, যেটা বলা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি।”
তিনি বলেন, “সেন্ট মার্টিন দ্বীপ দখলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কখনো কোনো ধরনের আলোচনা করেনি। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেই। দুই দেশ একসঙ্গে গণতন্ত্রের বিকাশের মাধ্যমে এই সম্পর্ককে আরও মজবুত করার চেষ্টা চলছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হলো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন।”