দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন – আলোচনার কেন্দ্রে থাকা সুজন যা বললেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে নানা কৌতূহল দেখা দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে। দলীয় মনোনয়ন কে পাচ্ছেন? কাকে দিবে মনোনয়ন এই নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নাই। এদিকে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে টানা ৭ বারের নির্বাচিত এমপি আলহাজ দবিরুল ইসলাম তার ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজনকে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি নিজেও এই আসন থেকে শেষবারের মতো মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। কিন্তু পরিস্থিতি যদি পাল্টে যায় তাহলে বিকল্প হিসেবে নিজের উত্তরাধিকার হিসেবে ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় আছেন।
সবকিছুর ঊর্ধ্বে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা মাজহারুল ইসলাম সুজন মানবজমিনকে বলেন, ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে উচ্চতর শিক্ষা নিয়েছি দেশের বাইরে থেকে। ফিরে এসে আবারো রাজনীতিতে যুক্ত থেকে যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে গড়ে ওঠা ঠাকুরগাঁও-২ আসনের টানা ৭ বারের নির্বাচিত এমপি আমার বাবা আলহাজ দবিরুল ইসলামের সঙ্গে থেকে দলের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছি। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি। সমির উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছি।
হরিপুর-বালিয়াডাঙ্গীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সরকারের দেয়া বরাদ্দ বাবার পাশে থেকে দলমত না ভেবে সুষম বণ্টন করে সকলের কাছে আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। এমন কোনো এলাকা নাই যে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে।
দেখা গেছে নানা কারণে দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রাখা অনেককে নিয়ে উপজেলাজুড়ে সরকারের উন্নয়ন চিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরতে নানাভাবে জনসংযোগ করে চলেছেন তিনি। তার এই যাত্রায় কর্মী-সমর্থকের পাল্লা ভারি হচ্ছে দিন দিন। ফলে বাবার পাশাপাশি সুজনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন দলমত নির্বিশেষে তৃণমূল জনগণ।
চাড়োল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার চ্যাটার্জী বাবু বলেন, দলকে শক্তিশালী করার ক্ষমতা রয়েছে সুজনের। হরিপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম পুষ্প বলেন, সুজন দলীয় কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছেন। দল তার দারা দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের মনেও জায়গা করে নিয়েছেন।
হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর বলেন, মানুষকে কীভাবে আয়ত্বে নিয়ে আসতে হয় একজন জননেতার যতগুলি গুণ থাকা প্রয়োজন সবগুণই সুজনের মাঝে বিদ্যমান। রাজনীতির ময়দানে তিনি সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করেন।
সুজন বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক ঘাত- প্রতিঘাত দ্বন্দ-সংঘাত সহ্য করেছি, বিএনপি’র শাসনামলে দুটি জননিরাপত্তা মামলায় ৫১ দিন কারাবরণ করেছি। একজন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দলকে সুসংগঠিত করা আরও শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য। দলের মূলধারায় থাকা ও নানা কারণে দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা সবাইকে নিয়ে সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার আবারো ক্ষমতায় আসবে বলে আমার বিশ্বাস। পাশাপাশি দলের হাই কমান্ড যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমার বাবার মতো বিপুল ভোটে জয়লাভ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনকে আবারো এই আসন উপহার দেবো ইনশাল্লাহ।