বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার আবুল কাশেম
শত কোটি টাকা মানিলন্ডারিং-এর মামলায় বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম। গত বুধবার মধ্যরাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি।
সিআইডি’র তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় গত বুধবার মধ্যরাতে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সিআইডি’র কাছে আবুল কাশেমকে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হলে শুনানির জন্য আগামী ২৫শে জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন বিচারক। একইসঙ্গে আবুল কাশেমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, অর্থ পাচারের মামলায় গত বুধবার ই-কমার্স কোম্পানি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদারসহ যে ৪ জনের বিদেশ যাত্রায় আদালত নিষেধাজ্ঞা দেয় তাদেরই একজন আবুল কাশেম। এর আগে গত ৩১শে মে সিআইডি মামলার আবেদন করলে রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা হয়। ৪ জন এজাহারভুক্ত এবং অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করা হয় এ মামলায়। মামলা নম্বর-৪০।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের পদ পাওয়ার জন্য এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে হাজারো গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া একশ’ কোটি টাকা মঞ্জুর আলম ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে দিয়েছিলেন। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া বাকি দুজন হলেন- আলেশা মার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মঞ্জুর আলমের স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী এবং আলেশা মার্টকে মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস কে ট্রেডার্সের মালিক মো. আল মামুন।